উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদনে মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল ষ্ট্রবেরী ও থাই পেয়ারাতে সফলতা

উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব বিষমুক্ত নিরাপদ ফসল উৎপাদনে মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল ষ্ট্রবেরী ও থাই পেয়ারাতে সফলতা

          মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল বয়সঃ-৩৫ বছর, অর্থ নীতিতে এম এ পাশ করেছেন। জীবনকে সার্থক করে তুলতে চান যশোরের মুণরামপুরের, মহোনপুরের কৃতি সন্তান মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল। তিনি শিমূল নামে ছোট বড় সাবর কাছে পরিচিত। ছাত্র জীবন থেকেই তার স্বপ্ন কৃষিতেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটানো। তিনি কৃষি বিষয় উচ্চতার ডিগ্রী গ্রহন করেননি ঠিকই কিন্ত তিনি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষি প্রযুক্তি গ্রহন করেন এবং সেটাই তিনি তার চলার পথের সংঙ্গী হিসাবে বেঁেচ নেন।

            তার জীবনে কৃষিতে প্রমথ যাত্রা শুরু ষ্ট্রবেরী চাষ করে। প্রথম ২০০৯ মাসে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, জনাব এস চৈতন্য কুমার দাশ, এর সহিত সাক্ষাৎ করেন। তার সাথে সাক্ষাৎ এর পর থেকেই  ষ্ট্রবেরী চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রথম তিনি ষ্ট্রবেরী ৬৫ শতক জমিতে ষ্ট্রবেরী চাষ শুরু করেন। সেখান থেকে তিনি ৬ মাসে ১,৫০,০০০/- টাকা আয় করেন। আজও তিনি সেই ষ্টবেরীর চাষ ধরে রেখেছেন। 

পাশাপাশি তিনি ২০১৪ সালে থাই পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। তিনি ৫০ শতক জমিতে থাই পেয়ারার চাষ শুরু করেন। প্রথম বছরে তিনি ৫০ শতক জমি থেকে ২০,০০০/- টাকার পেয়ারা বিক্রি করেন এবং ৫০,০০০/- টাকার কলম বিক্রয় করেন। এ বছর আরোও ৬০ শতক জমিতে থাই পেয়ারা রোপন কাজ শেষ করেন। এছাড়াও তিনি ৩৩ শতক জমিতে মেটে আলুর চাষ করেন। সেখান থেকে তিনি বীজ আলু হিসাবে ১,৫০,০০০/- টাকা আয় করেন। বর্তমানে তার কৃষি খামারের নাম গ্রীন মিন্ট এগ্রো ফার্ম হিসাবে পরিচিত। কৃষি কাজের পাশাপাশি তিনি ছ্্োট্ট একটি ব্যবস্যা বেচে নেন । এ ব্যবস্যা টি তিনি কৃষকের উপকারের জন্য করেন। তার দোকান টি হলো বালাইনাশকের দোকান। এ দোকানের  নাম দেন মেসার্স অগ্রনী কৃষি বিপনী। এখান থেকে তিনি প্রতি মাসে বেশ টাকা আয় করেন।

উল্লেখ্য তিনি ২০১৫ সালে মেসার্স মুক্ত বিল্ডার্স নামে একটা সরকারী ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন করেন। তিনি নিজের পায়ে দাড়াবার জন্য মাঝে মাঝে শুধুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ে ছুটে যেতেনে। তার শিক্ষাগুরু ছিলেন ডঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, গবেষক টিস্যুকালচার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়। তিনি এক জন নামাযী লোক তিনি আল্লার পবিত্র দরবারে সকল সময় প্রার্থনা করতেন স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আল্লহ তার দোয় কবুল করেছেন। তিনি এখন এক জন্য সুখী মানুষ।

  মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল আজ তিনি এক জন স্বাবলম্বী কৃষক। নিজের পায়ে দাড়ানো যে কতটা আনন্দ দায়ক  যে সফল হয়নি সে কোন দিন অনুভব করতে পারবে না। তিনি তার জীবনকে মানুষের উপকারে নিয়োজিত রেখে স্বার্থক করে তুলতে চান। তাইতো সমাজকে ভালোবেসে, দেশকে ভালোবেসে এবং সমাজের উন্নয়নে সদা অবদান রেখে চলেছেন মণিরামপুরের সেই কৃতি সন্তান মোঃ ফারুক হোসেন শিমুল